Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পাঠ পরিকল্পনা ২০২১

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা - ২০২১
(শিখন ঘাটতি-পূরণ পরিকল্পনাসহ)

মুখবন্ধ

প্রাথমিক স্তরের সকল শিক্ষার্থীর জন্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা বর্তমান শিক্ষা-বান্ধব সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য সরকার আইন ও বিধি প্রণয়নসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ফলে শতভাগ শিশুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি, শ্রেণিকক্ষে জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারের অগ্রাধিকার এখন জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (ঝউএ) চতুর্থ লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়ন।

মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে সরকার তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসজনিত মহামারি সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সর্বক্ষেত্রে সংকটের সৃষ্টি করেছে। স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষাক্ষেত্রেও এই মহামারির নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সংক্রমণ রোধ করে মানুষের জীবন রক্ষার জন্য সরকার ১৭ মার্চ, ২০২০ থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। করোনা সংকটে প্রাথমিক স্তরের প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

২০২০ শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি প্রণীত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘সময়াবদ্ধ বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা, ২০২০’ অনুসরণ করে ১৭ মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। প্রাথমিক স্তরে করোনাজনিত ক্ষতি পূরণ করে শিক্ষার্থীদের শিখন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সংসদ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘ঘরে বসে শিখি’, বেতারে প্রাথমিকের পাঠ প্রচার এবং অনলাইনভিত্তিক অন্যান্য মাধ্যমে পাঠ প্রচার সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে জাতীয় প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাক্রমে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) এর সার্বিক সহায়তায় ‘বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা- ২০২১ (শিখন ঘাটতি-পূরণ পরিকল্পনাসহ)’ প্রণয়ন করেছে। শিক্ষার্থীরা যেন পূর্ববর্তী শ্রেণির আবশ্যকীয় অর্জনযোগ্য যোগ্যতাসমূহ অর্জন করতে পারে এবং বর্তমান শ্রেণিতে অর্জনযোগ্য যোগ্যতা পুরোপুরি অর্জন করতে পারে সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই এই পাঠপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

এই ‘বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা - ২০২১’ অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করা গেলে আশা করা যায় প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা করোনাজনিত কারণে পূর্ববর্তী শ্রেণির শিখন ঘাটতি-পূরণ করে বর্তমান শ্রেণির শিখনফল অর্জনে সক্ষম হবে।

‘বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা-২০২১’ প্রণয়নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনা এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। স্বল্প সময়ে এই বার্ষিক পাঠপরিকল্পনা প্রণয়নে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা
চেয়ারম্যান
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ।